বিএনপি নামক দলটির জন্ম-ইতিহাস জানানোর তাগিদ থেকে বইটা লেখা হয়েছে। আমাদের গণমাধ্যমে বিএনপি’কে একটু আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। বলা হয় ‘রাজপথের বিরোধী দল’। প্রশ্ন করা যায়, বিএনপি যদি রাজনৈতিক দলই হয়ে থাকে, তাহলে না-হয় বিরোধী দল হওয়ার প্রশ্ন আসে। বিএনপি আসলে বিরোধী মহল; বিরোধী মহল আর বিরোধী দল কখনও এক বিষয় হতে পারে না। বিগত ১৫ বছর এ দলটি বাংলাদেশে কত কাণ্ডই না করেছে। সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে জিয়াউর রহমান সব সময় পাকিস্তান-প্রভুদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৮ সালে সমর-প্রভু যে সংগঠনটির জন্ম দেন, তার নাম ‘জাগদল’ এবং পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘বিএনপি’। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই)-র পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ৫০ কোটি পাকিস্তানি রুপি দেওয়া হয়েছিল। বেগম জিয়াকে রুপি দেওয়া হয়েছিল বলে আইএসআই-এর তৎকালীন প্রধান লে. জেনারেল আসাদ দুররানি পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে ২০১২ সালে হলফনামায় স্বীকার করেছিলেন। এ খবর বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও প্রচারিত হয়েছিল। ২০১২ সালের ১৭ মার্চ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। দেশের আপামর মানুষ বিশ^াস করে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় শাণিত হয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করবে। সে-হিসেবে বিএনপি কখনও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল হয়ে ওঠার চেষ্টা করেনি। কেননা, এ দলের জন্মত্রুটির কথা সবার জানা। ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস্ পত্রিকায় বিএনপি-নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ-বিরোধী নিবন্ধ লিখেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সভায় বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদের যে সংখ্যা বলা হয়, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।’ দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৫ বছর পরে স্বাধীন দেশের বিরোধী দলের নেতার আসনে বসে দেশবিরোধী এ-রকম বক্তব্য দেওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
বিএনপি: কালের হাতে কালে ধরা
Original price was: ৳ 500.৳ 400Current price is: ৳ 400.
Reviews
There are no reviews yet.